ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2446 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। ফলস্বরূপ, আমি পাউন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি—যা ভুল সিদ্ধান্ত বলে প্রমাণিত হয়। তবে, লোকসান করার চেয়ে ট্রেড না করাই ভালো।
মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মূলত মার্কিন ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে পাউন্ডের ক্রেতারা আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে, কারণ তারা ডলারের দরপতনের প্রত্যাশা করছিল। তবে, তারা শীঘ্রই নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, কারণ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্রিটিশ কারেন্সির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সমর্থন করে না, যা পাউন্ডের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত কঠোর অবস্থান কেবলমাত্র বাজার পরিস্থিতির অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিনিয়োগকারীরা সম্ভাব্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যার ফলে তারা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে সতর্ক থাকছে এবং ডলারের চাহিদা বজায় রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোনিবেশ করবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে স্বল্প-মেয়াদে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এখনও উচ্চমাত্রার ঝুকি রয়ে গেছে।
আজকের আবাসন মূল্য সূচক সংক্রান্ত (NHP) প্রতিবেদন যদিও রিয়েল এস্টেট মার্কেট বিশ্লেষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে না। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায়, ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের তীক্ষ্ণ পরিবর্তনের আশা করছে না, যার মানে সম্ভবত পাউন্ড চাপের মধ্যে থাকবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ করবে, তবে এই মুহূর্তে ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে। এছাড়াও, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পাউন্ড স্টার্লিং অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল বৃহত্তর বিশ্লেষণমূলক কাঠামোর একটি অংশ মাত্র, এবং এর প্রভাব পরোক্ষ হবে। মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে, যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে।
আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2460-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2429-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2460-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। স্বল্পমেয়াদ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2411-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2429 এবং 1.2460-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2411-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2381-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। পাউন্ডের মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে, কারণ এখন প্রবণতার বিপরীতে ট্রেড করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2429-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2411 এবং 1.2381-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
- সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
- স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।